ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে এলাকার প্রায় ৬ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সরজমিনে দেখা যায়, চরম্বা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উলুবনিয়া এলাকায় জামছড়ি খালের কয়েকটি স্পটে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। লক্ষাধিক ঘনফুট বালু সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে, যা পাচার করা হচ্ছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইয়ারপাড়া থেকে হাতির-ঢেড়া সংযোগ সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এসব ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির প্রায় পুরো অংশই এখন বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় র আদ্যক্ষর নামের এক যুবক জানান, “২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শওকত ও তার প্রভাবশালী একটি মহল জোরপূর্বক এই রাস্তা দিয়ে বালু পাচার করছে। কেউ বাধা দিলে হুমকি-ধমকি ও মারধরের শিকার হতে হয়।”
এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই এলাকায় থাকতে দেওয়া হবে না। ভয়েই চুপ করে থাকতে হয়।” কৃষক নুরুল আলম বলেন, “আমরা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু রাস্তায় গাড়ি না ঢুকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পারছি না। এতে আমরা বড় ক্ষতির মুখে।”
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য শওকত জানান যে তিন মাস আগে উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৫ দিনের জন্য নিলামে বালু ক্রয় করেছেন। বর্ষার কারণে সময়মতো তুলতে পারেননি তাই এখন তুলছেন।তিনি আরো জানান যে সে শুধু একা না, আরও অনেকে জড়িত আছে।
চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন বলেন, “কিছুদিন আগে বিষয়টি জানার পর সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কী হয়েছে তা জানি না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যেহেতু ইউপি সদস্যের নাম এসেছে, সরজমিন পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অবৈধ বালু উত্তোলন ও ভারী যান চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়ক এখন স্থানীয়দের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া দুর্ভোগ থেকে মুক্তির কোনো আশা দেখছেন না গ্রামবাসী।
মন্তব্য করুন