ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
বিএনপির ২৩৭ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত, বাকি ৬৩ আসন নিয়ে জল্পনা যেন পিছু ছাড়ছে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। তবে ৬৩টি আসনে মনোনয়ন ঘোষণা না করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
এই অনিশ্চিত আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-৯, ঢাকা-১০ এবং লক্ষ্মীপুর-১। রাজনৈতিক বিশ্লেষণের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অংশ দাবি করছে—এই আসনগুলো নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের জন্য খালি রাখা হয়েছে। বিএনপি এই তিনজনের কাছে আসন ‘ছাড়তে যাচ্ছে’—এমন ধরনের ‘পারসেপশন’ তৈরি করার অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলছেন, “এগুলো মূলত সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক অনুমান। প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন–প্রক্রিয়া এত সরল নয় যে, তিনটি আসনকে ভিত্তি করে পুরো রাজনৈতিক সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক হয়ে যাবে।”
কিছু অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট দাবি করছেন, কথিত ‘ভাই-ব্রাদার কোরাম’-এর বাইরে থাকার কারণে বিএনপি নাকি পঞ্চগড়-১ এবং দেবিদ্বার আসনে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে মনোনয়ন দেয়নি, যা এনসিপি–বিএনপি সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইঙ্গিত।
তবে বিশ্লেষকেরা পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন— যদি ‘ভাই-ব্রাদার’ তত্ত্বই সত্য হয়, তবে বাকি ৬০টি আসনে মনোনয়ন আটকে আছে কেন? কাউনিয়ার আখতার হোসেন এবং শাহরাস্তির নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী—যাদেরও ওই একই কোরামের অংশ বলা হয়—তাদের মনোনয়ন কীভাবে চূড়ান্ত হলো? রাজনৈতিক মহলের মতে, এসব প্রশ্নের উত্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক বিশ্লেষকরা দিতে ব্যর্থ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ মনে করেন, কিছু নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় প্রতিযোগিতা, জোটগত সমন্বয় এবং কৌশলগত কারণে বিএনপি এখনো মনোনয়ন ঘোষণা করেনি। ঢাকা–১০: শেখ রবিউল ও ব্যারিস্টার অসীমের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। লক্ষ্মীপুর–১: বিএনপির মিত্র এলডিপির নেতা শাহাদাত সেলিম এখানে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। এ ধরনের বাস্তব পরিস্থিতির কারণে মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কিছু অ্যাক্টিভিস্ট দাবি করছেন, এনসিপির অভ্যন্তরীণ ভাঙনই বিএনপির মনোনয়ন বিলম্বের কারণ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এগুলো অধিকাংশই ইচ্ছাকৃত প্রচারণা, যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল কম।
তাদের মতে, এই প্রচারণাকারীদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে বিভেদ আছে—এমন ছবি তুলে ধরা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়ানো, দুটি দলের সম্ভাব্য জোট নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করা
একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেন, “এদের অনেকেই কোনো দলীয় পদে নেই, এমনকি মাঠের রাজনীতিও করেন না। সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে তারা নিজেদের ‘বিশ্লেষক’ পরিচয় দেন—এটিই বাস্তবতা।”
বিএনপি বাকি ৬৩টি আসনে কবে মনোনয়ন ঘোষণা করবে—তা নিয়ে অপেক্ষা বাড়ছে। স্থানীয় সমীকরণ, জোট-রাজনীতি এবং প্রার্থী বাছাইয়ের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার কারণে বিলম্ব হচ্ছে বলে ধারণা করা হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে এই আসনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের আলোচনা আরো তীব্র হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন