ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
নামজারি (মিউটেশন) করতে এখন আর দালাল বা বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই। মাত্র ১১৭০ টাকা সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়েই অনলাইনে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
সাতকানিয়া উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এই তথ্যটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে স্থানীয় জনগণের মধ্যে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সামছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বার্তায় বলা হয়, মিউটেশন বা নামজারি সংক্রান্ত সরকারি ফি চারটি নির্দিষ্ট ধারায় আদায় করা হয়
১️. The Court-fees Act, 1870 অনুযায়ী কোর্ট ফি বাবদ ২০ টাকা।
২️. The Practice and Procedure Manual, 1969 অনুযায়ী নোটিশ বা প্রসেস ফি বাবদ ৫০ টাকা।
৩️. The Stamp Act, 1899 অনুযায়ী রেকর্ড কারেকশন ফি বাবদ ১০০০ টাকা।
৪️. The Bengal Record Manual, 1943 অনুযায়ী খতিয়ানের কপি বাবদ ১০০ টাকা।
সব মিলিয়ে মোট ১১৭০ টাকা অনলাইনে iBASS++ সিস্টেমের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
পুরো প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে:
বার্তায় আরও জানানো হয়, ভূমি অফিসগুলোকে ‘ক্যাশলেস অফিস’ ঘোষণা করা হয়েছে, অর্থাৎ অফিসে নগদ অর্থ গ্রহণ সম্পূর্ণ বন্ধ। নাগরিকরা ভূমিসেবা ওয়েব প্ল্যাটফর্ম (https://land.gov.bd/) ব্যবহার করে সহজেই নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারেন। উল্লেখ করা হয়, “যারা ফেসবুক বা জিমেইল ব্যবহার করতে পারেন, তারাও সহজেই অনলাইনে নামজারি আবেদন করতে সক্ষম।”
দালাল বা তৃতীয় পক্ষের প্রলোভনে না পড়ার আহ্বান:
সাতকানিয়া এসিল্যান্ড অফিস জনগণকে সতর্ক করে বলেছে যে, কেউ যদি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করেন এবং নির্ধারিত ফি-এর বাইরে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন, তবে সেটির সঙ্গে সরকারি ভূমি সেবার কোনো সম্পর্ক নেই।
তৃতীয় পক্ষের কার্যক্রমকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ‘ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে, যেখানে সহায়তাকারীদের জন্য নির্ধারিত সেবা ফি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসিল্যান্ড সামছুজ্জামান বলেন, “ভূমি অফিসকে হয়রানিমুক্ত, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবার মডেলে রূপ দিতে কাজ করছি। কোনো দালাল বা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই নাগরিকরা যেন নিজের জমির কাজ নিজে করতে পারেন, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
মন্তব্য করুন