ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
ফেসবুক পোস্ট দেখে মসজিদে টিন দিলেন সাতকানিয়ার ইউএন। মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
এক খতিবের ফেসবুক পোস্টে মসজিদের জরাজীর্ণ টিনের ছাউনি দেখে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন তিনি। মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ওই মসজিদের জন্য তিন বান টিন প্রদান করেন এই উপজেলা প্রশাসক। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে অবস্থিত নয়াখালের মুখ জামে মসজিদে। গত ১৭ অক্টোবর জুমাবারে নামাজের সময় প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে মসজিদের ছিদ্রযুক্ত টিন দিয়ে পানি চুঁইয়ে ভেতর পর্যন্ত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন পানি সিঞ্চন করতে করতে পরিস্থিতির ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন।
ভিডিওটি নজরে আসে ইউএনও খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের। পরিস্থিতি বুঝে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন এবং ২০ অক্টোবর (সোমবার) নয়াখালের মুখ জামে মসজিদের জন্য টিন সরবরাহ করেন। পরে বিষয়টি ছবিসহ উপজেলা পরিষদের সরকারি ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেন এবং কমেন্ট বক্সে খতিবের মূল পোস্টের লিংকও যুক্ত করেন।
পথচারী ও শ্রমিকদের দানে চলে মসজিদটি কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এই মসজিদটির আশপাশে কোনো আবাসিক মহল্লা নেই। এলাকার কয়েকটি দোকানের ব্যবসায়ী, ক্রেতা, পথচারী ও আশেপাশের ইটভাটার শ্রমিকদের দানেই চলে মসজিদটির ব্যয়ভার।
তেমুহানী গ্রামের এক ছাত্র নামমাত্র সম্মানীতে এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করেন। জুমাবারে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও কেরানিহাট আশ-শেফা স্কুলের শিক্ষক মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মসজিদের টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে যায়। ফলে প্রবল বৃষ্টিতে মুসল্লিরা নামাজের মধ্যেই ভিজে যান, এমনকি মসজিদের মেঝেও পানিতে তলিয়ে যায়। ইউএনওর এই পদক্ষেপে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা। খতিব মাওলানা নুরুল আলম আরেফীন বলেন, “ইউএনও মহোদয়ের এই তড়িৎ পদক্ষেপ স্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। প্রত্যেক উপজেলায় যদি এমন উদ্যোগী ও নিষ্ঠাবান নির্বাহী থাকেন, তবে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে।”
মন্তব্য করুন