ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা চত্বর থেকে কেরানিহাট রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সাতকানিয়া অফিসের তত্ত্বাবধানে।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ‘চট্টগ্রাম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ’ (সিডিডব্লিউএসপি) প্রকল্পের আওতায় প্রায় চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সড়কটির ব্যাপ্তি সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সাতকানিয়া রাস্তার মাথা এলাকা পর্যন্ত। ওই সময় ৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ টাকার কাজটি পায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আর কে রোডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসুন্ধরা। ২০২৫ সালের জুন মাসে কাজটি শুরু করে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় তিন মাস পর সম্প্রতি সড়কের কাজ শুরু করে।
তবে কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া, বালু ও ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি উপজেলা গেইটের সামনেই, যেখান থেকে কাজটি শুরু হয়েছে, সেখানে খোলা চোখে দেখা যাচ্ছে অনিয়ম।
মধ্য রূপকানিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, “রাস্তা প্রশস্ত করা হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু তারা যে মানের উপকরণ দিচ্ছে, তাতে কয়েক মাস না যেতেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।”
স্থানীয় দোকানদার আবদুল মালেক বলেন, “আমরা প্রতিদিন দেখি—বালুতে মাটি মিশিয়ে দিচ্ছে, খোয়া নরম, কেউ এসে দেখছে না কাজ ঠিক হচ্ছে কি না।”
এলজিইডি সাতকানিয়া অফিসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কাজ চলছে, আমরা তদারকি করছি। কোথাও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে’র সঙ্গে হোয়াটস এপে মেসেজে দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি জেলা শহরে ট্রেইনিংয়ে আছের বলে জানান, তাঁকে ফ্রি হয়ে কল দিতে অনুরোধ করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে আর কিছু জানাননি।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, তদারকি যদি সঠিকভাবে হতো, তাহলে উপজেলা গেইটের সামনেই এমন নিম্নমানের কাজ চলতে পারত না। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্ত ও কাজের মান যাচাইয়ের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, সরকারি কোটি টাকার প্রকল্পে এমন অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে উন্নয়ন নয়, বরং অপচয়ই বাড়বে, এবং এভাবেই লুটপাট ও অপচয় হবে সরকারি অর্থ।
মন্তব্য করুন