ইসি শতভাগ প্রস্তুত: ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগেই সংসদ নির্বাচন সম্ভব
আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে, চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস: বিএনপির ভেতরেই কেন বিস্মৃত একটি দিন?
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
সাতকানিয়ায় কলেজছাত্রী নাদিয়া নিখোঁজ: সন্ধান চেয়ে পরিবারের আবেদন
সাতকানিয়ায় ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা: জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
বিজিবির অভিযানে ১৫ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য আটক
নকলার কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা
সাতকানিয়ায় জব্দকৃত অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার নিলাম স্থগিত
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা কে. কে. উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি গঠন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণের অভিযোগ— গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রক্ষা করা হয়নি এবং বিশেষ প্রভাবের মাধ্যমে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি করার উদ্যোগ চলছে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে গভর্নিং বডির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ তারিখ ছিল। প্রার্থী সংখ্যা কম থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। এর পরদিন ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার আশীষ বরন দেব বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেন।
বিশেষ সূত্রের দাবি, একজন আওয়ামীলীগের দোসর, বিগত আওয়ামী আমলে ছদাহার নিরীহ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করেছে। এমন একজন বিতর্কিত স্থানীয় ব্যক্তি ইসহাকের পরামর্শে সভাপতির তিন সদস্যের একটি প্যানেল তৈরি করা হয় এবং তাতে ইসহাককে ১ নম্বর প্রার্থী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। ওই তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কে এই ইছহাক? ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এস আলম কর্তৃক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রদানকৃত ২৫০০ কোটি টাকার সাতকানিয়া থানা আওয়ামী লীগের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার একটি অংশ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ আছে ইসহাকের বিরুদ্ধে। ছদাহা রোয়াজি পাডায় অবস্থিত নিজ বাড়ীকে থানা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে শোনা যায়।, এখান থেকেই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সাতকানিয়া থানার সুবিধা জনক যেকোন স্থানে আগামী কয়েকদিনের ভিতর মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়ে এম এ ইসহাক দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করছেন বলে গোপনসূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, কেফয়েত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ছদাহা ইউনিয়নের কিছু ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দাবি করছেন, ইসহাক একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, যিনি অতীতে প্রতিষ্ঠানটির তহবিলের অপব্যবহার করেছেন এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়কে “নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে” রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
তারা অভিযোগ করেন—“ইসহাক অতীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যবহার করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন। এমন একজন ব্যক্তিকে সভাপতি করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
ইসলামী ছাত্র শিবির ও জামায়াতে ইসলামির স্থানীয় প্রতিনিধিরা সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শাহজাহান চৌধুরীর কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছেন, যাতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক তদারকি বাড়ানো হয় এবং “যোগ্য, নিরপেক্ষ ও সমাজে গ্রহণযোগ্য” কোনো ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ছদাহা কে. কে. উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও জনবিশ্বাসযোগ্য ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।
মন্তব্য করুন