ভুয়া ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ভুয়া সিনিয়র স্টাফনার্স, ঝাড়ুদার কাম ব্লাড সেম্পল কালেক্টর
লোহাগাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন
ঝিনাইগাতীতে র্যাবের অভিযানে ১৪৮ পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
দিনমজুরের বাড়িতে কৃষি অফিসের কৃষিযন্ত্র ও সোলার পাম্প
সাতকানিয়ায় ছেলের ছুরিকাঘাতে পিতার মৃত্যু
১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক রহমান
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত: কে হচ্ছেন ?
ঢাকা লকডাউন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ২য় দিনের মত বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত বেসরকারি শিক্ষকরা তাঁদের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে টানা কর্মবিরতি পালন করছেন। এর ফলে উপজেলার প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস কার্যক্রম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের ডাকে গত ১২ অক্টোবর থেকে এই কর্মবিরতি চলমান রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্থানীয় পর্যায়েও পাঠদান বন্ধ রেখে দাবি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছেন।
শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ২০% বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা বৈষম্যহীন উৎসব ভাতাসহ ৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত এসব দাবি বাস্তবায়নের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ না নেওয়লায় বাধ্য হয়েই তাঁরা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচিতে গিয়েছেন।
পৌর এলাকার ছৈয়দাবাদ এমদাুল উলুম দুদুফকির আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবি বহু বছর ধরে জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছি। এই কর্মসূচি অনিচ্ছাকৃত হলেও এটি আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।”
অন্যদিকে কর্মবিরতির কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা। বিশেষ করে বার্ষিক পরীক্ষা ও বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতিতে থাকা শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় এক অভিভাবক বলেন, “শিক্ষকরা যদি ক্লাস না নেন, বাচ্চারা পিছিয়ে পড়বে। সরকারের উচিত দ্রুত সমস্যা সমাধান করা।”
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের কারণে উপজেলার অধিকাংশ স্কুল ও কলেজে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো বিশেষ নির্দেশনা বা বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
শিক্ষক সংগঠনগুলো জানিয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি ও আন্দোলন চলবে। সরকারের তরফ থেকে যদি দ্রুত কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ না আসে, তবে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মন্তব্য করুন