ভুয়া ল্যাব টেকনোলজিস্ট, ভুয়া সিনিয়র স্টাফনার্স, ঝাড়ুদার কাম ব্লাড সেম্পল কালেক্টর
লোহাগাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন
ঝিনাইগাতীতে র্যাবের অভিযানে ১৪৮ পিস ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
দিনমজুরের বাড়িতে কৃষি অফিসের কৃষিযন্ত্র ও সোলার পাম্প
সাতকানিয়ায় ছেলের ছুরিকাঘাতে পিতার মৃত্যু
১৩৪ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক রহমান
পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত: কে হচ্ছেন ?
ঢাকা লকডাউন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে সরকার বদ্ধপরিকর : আইন উপদেষ্টা
অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে দ্বিতীয়বারের মতো সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় অবস্থিত KB3 ব্রিকফিল্ডের মালিকপক্ষকে জরিমানা করেছে প্রশাসন।
২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান।
এ সময়য় ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৩-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ভাটাটির মালিককে ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত মাসেও একই ইটভাটাকে ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। এরপরও অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এবার আবারও জরিমানা গোনা হলো।
উল্লেখ্য যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ সন্ধ্যায় একই KB3 ব্রিকফিল্ডে পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহযোগিতায়
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং একই সাথে পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক জনাব মইনুদ্দীন ফয়সাল কে ব্রিক ফিল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হলেও পরবর্তীতে অদৃশ্য কারণে আর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এবং পাহাড় কাটাও বন্ধ হয়নি।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, পাহাড় কাটা শুধু পরিবেশ ধ্বংস করে না, বরং ভূমিধস ও মাটিক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। তারা সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে পুনরায় এমন কর্মকাণ্ড চালালে ভাটাটির বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহল বলেন যে যেহেতু প্রশাসনের বারংবার অভিযান পরিচালনা করে কোভাবেই থামানো যাচ্ছেনা সেহেতু সেইসকল ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বিকল্প নেই। এভাবে অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়খেকো, মাটিখেকোদের দমন করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন সচেতন মহল। তারা এও মনে করেন যে প্রয়োজনে এলাকার পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন কে একত্রিত করে মতবিনিময় সভা, পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই মাটিকাটা, পাহাড়কাটা রোধ করতে পারে বলে মনে করেন।
মন্তব্য করুন